হেপাটাইটিস রোগের অনেক প্রকার আছে। তবে সব থেকে মারাত্নক হলো হেপাটাইটিস-বি। হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস জনিত কারণে লিভারের যে প্রদাহ সৃষ্টি হয় তাকে হেপাটাইটিস-বি বলে। বাংলাদেশে শতকরা ৭-১০ ভাগ মানুষ হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসের বাহক। সারা বিশ্বে ৩৫ কোটি দীর্ঘমেয়াদী হেপাটাইটিস-বি রোগে আক্রান্ত।
হেপাটাইটিস-বি দুই ধরনের হয়ে থাকে। যথা: স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী।
স্বল্পমেয়াদী হেপাটাইটিস-বি রোগটি কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত সেরে যায়।
দীর্ঘমেয়াদী হেপাটাইটিস-বি রোগটি ৬ মাসের বেশি সময় স্থায়ী হয়। এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো লিভার সিরোসিস।
উপসর্গও লক্ষণ: আক্রান্ত রোগীর কোন উপসর্গ নাও থাকতে পারে। এই রোগের সুপ্তাবস্থা ৪ সপ্তাহ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত হতে পারে। তবে লক্ষণগুলো হলো:
১) জ্বর
২) ক্লান্তিবোধ
৩) শরীর টনটন করা
৪) বমি ভাব
৫) ক্ষুধামন্দা
কিভাবে রোগ ছড়ায়?
১) রক্তের সংস্পর্শতা: নিরীক্ষাবিহীন রক্ত বা রক্তের উপাদান পরিসঞ্চালন এবং সংক্রমিত রক্তের মাধ্যমে ছড়ায়।
২) দূষিত যন্ত্রপাতির ব্যবহার: বিভিন্ন রকম চিকিৎসায় দূষিত যন্ত্রপাতির ব্যবহার।
৩) ব্যক্তিগত জিনিসের মাধ্যমে: দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য জিনিস যেমন: দাঁতের ব্রাশ, রেজার ইত্যাদি।
৪) লালারসের মাধ্যমে: লালারসের মাধ্যমে ছড়ায়।
৫) সূঁচের সাহায্য: একই সূঁচ বিভিন্নভাবে ব্যবহার করলে রোগ ছড়ানো সম্ভাবনা থাকে।
৬) যৌন কর্মের মাধ্যমে ছড়ায়।
সনাক্তকরণ:
প্রাথমিকভাবে হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস সংক্রমণ সনাক্তকরণের জন্য রক্তে HBsAg স্ক্রিনিং করতে হয়।
প্রতিরক্ষা:
হেপাটাইটিস-বি যাদের পজেটিভ হয়েছে ভয় কোনো কারণ নেই। যদি পজেটিভ থাকে তাদেরকে দেখতে হবে যে লিভারের কোনো হয়েছে কিনা। ডাক্তারের চিকিৎসার মাধ্যমে রোগ থেকে বাঁচা যায়।
প্রতিরোধ:
ব্যক্তিগত পদক্ষেপ
১) একবার সূঁচ করতে হবে।
২) নিরাপদ রক্ত সঞ্চালন।
৩) নিরাপদ যৌন চর্চা
৪) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরামর্শ অনুযায়ী টিকা দিতে হবে।
আশা করি হেপাটাইটিস-বি দেশ সুরক্ষিত থাকবে।