সাভারে দফায় দফায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষে পুরো এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। তাই শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে ছুটি ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গত ২৭ অক্টোবর পূর্বশত্রুতার জেরে বিশ্ববিদ্যালয়টির টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন ছাত্রকে তুলে নিয়ে গিয়ে গুরুতর আহত করা হয়, পরবর্তী তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঐ ছাত্র মারা যায়। খুনিদের ফাঁসিসহ ছয় দফা দাবি নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছিল গত কয়েকদিন ধরে।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় আশুলিয়ার চাঁনগাও এলাকায় ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির ছাত্র ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের সময় মসজিদের মাইক থেকে ছাত্রদের উপর হামলার জন্য আহবান করতে দেখা গেছে কিছু ভিডিওতে। এরপর আজ সোমবার সকালে দেখা যায় এখনো পরিস্থিতি বেশ থমথমে। শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তার শঙ্কায় ক্যাম্পাসের হোস্টেল এবং আশেপাশের মেস ছাড়তে শুরু করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর (জনসংযোগ) আনোয়ার হাবিব বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্যই বিশ্ববিদ্যালয় আজ ৬ নভেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাদের সুযোগ আছে তাদের হোস্টেল ছাড়তে বলা হয়েছে। তবে কেউ চাইলে হোস্টেলে থাকতে পারবে।’
শিক্ষার্থীরা জানান -গতকাল রাতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে। আবাসিক হোস্টেলে ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। যার কারণে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই এটা চিন্তা করে কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করেছে। আজ ৬ নভেম্বর থেকে আগামী ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত ক্যাম্পাস বন্ধ থাকবে।
এদিকে প্রশাসনের বক্তব্য হচ্ছে বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসন সুদৃঢ় অবস্থান নিচ্ছেন ভার্সিটি এলাকায়।