আগামী ২০ নভেম্বর থেকে মাঠে গড়াচ্ছে ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল ২০২২। অলিম্পিক গেমস এই জগতের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসর সন্দেহ নেই। কিন্তু জনপ্রিয়তায় ফুটবল বিশ্বকাপ যে সবচেয়ে এগিয়ে তা নিয়ে কারো কোন সন্দেহ নেই। এজন্যই ফুটবল বিশ্বকাপকে ‘গ্রেটেস্ট শো অন দ্য আর্থ’ বলা হয়।আমাদের দেশেই ফিফা বিশ্বকাপ নিয়ে যে উন্মাদনা দেখা যায়, সেটির সঙ্গে তুলনা হয় না আর কিছুর। প্রতি চার বছরে একবার এই বিশ্বকাপের একমাস যেন বাংলাদেশের মানুষ ভুলে যায় সবকিছু। বুঁদ হয়ে থাকে টেলিভিশনের পর্দায়। নিজেরা বিশ্বকাপ ফুটবলের ধারেকাছে না থাকলেও ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, জার্মানি আর হালের পর্তুগাল নিয়ে আমাদের উচ্ছ্বাস কারোর চেয়ে কম না। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০১২ সালে সভাপতি সালাহউদ্দিন বলেছিলেন, ২০২২ সালে বিশ্বকাপ খেলবে বাংলাদেশ। তবে বাস্তবে তার উল্টো হয়েছে। ফুটবলে আরও পিছিয়েছে দেশটি। তবে ২০২২ সালে ঠিকই বিশ্বকাপ ট্রফি বাংলাদেশের আনতে পেরেছেন তিনি। তা কেবল ৩৬ ঘণ্টার জন্য। আমাদের অপেক্ষার প্রহর যে আরো দীর্ঘায়ীত হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। এবারের আসরের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ফিফা বিশ্বকাপ আরব বিশ্বের কোন দেশে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানে ২০০২ ফিফা বিশ্বকাপের পর এটি এশিয়ায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ফিফা বিশ্বকাপ। এটি ৩২ দলের অংশগ্রহণে আয়োজিত ফিফা বিশ্বকাপের সর্বশেষ আসর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং কানাডায় অনুষ্ঠিত ২০২৬ সালের আসর হতে ৪৮ দলের সমন্বয়ে ফিফা বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে। কাতারের তীব্র গ্রীষ্মকালীন উত্তাপের কারণে এই আসরটি ২০২২ সালের ২০শে নভেম্বর হতে ১৮ই ডিসেম্বর পর্যন্ত কাতারের ৫টি শহরের ৮টি মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। যার ফলে এটি মে, জুন অথবা জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত না হওয়া এবং উত্তর শরৎকালে অনুষ্ঠিত প্রথম আসর হবে। এটি প্রায় ২৯ দিনের সময়সীমায় অনুষ্ঠিত হবে এবং এই আসরে অনুষ্ঠিত প্রথম ম্যাচে আল খুরের আল বাইত স্টেডিয়ামে কাতার এবং ইকুয়েডর মুখোমুখি হবে। অন্যদিকে, ২০২২ সালের ১৮ই ডিসেম্বর তারিখে কাতার জাতীয় দিবসে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে- আমরা ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা কিংবা জার্মানিকে সমর্থন দিবো কিন্তু নিজের দেশের চেয়ে বেশী না। স্কুল, কলেজ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে নিজের ক্লাবের প্রতি, দেশের প্রতি সমর্থন দেয়ার জন্য স্টেডিয়ামে হাজির হওয়া, আবেগ উচ্ছাসের কাছে সবকিছু পরাজিত হওয়া শক্তিগুলোকে পুঁজি করেই আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশ ফুটবলেরও সুদিন আসবে এবং আমরাও খেলবো কোন এক বিশ্বকাপ।