নিজস্ব প্রতিনিধি।
১৮ ডিসেম্বর রাত ৮টা থেকে গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে তাবলীগ জামায়াতের মাওলানা জুবায়ের এবং মাওলানা সাদপন্থীদের মধ্যে এক তীব্র সংঘর্ষ ঘটে। এই সংঘর্ষে চারজন নিহত ও পঞ্চাশাধিক মানুষ আহত হন, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় ইজতেমা মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষে বিরোধের কারণে। গত কয়েক বছর ধরে তাবলীগ জামায়াতের দুই পক্ষ—জুবায়ের এবং সাদপন্থীদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইজতেমা মাঠের দখলকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের ঘটনাটি তাৎক্ষণিকভাবে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
সংঘর্ষের পর, পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং ১৯ ডিসেম্বর রাতে রাজধানী ঢাকার উত্তরা এলাকা থেকে সাদপন্থি নেতা মুয়াজ বিন নূরকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর, টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইস্কান্দর হাবিবুর রহমান গণমাধ্যমে জানান, “মুয়াজ বিন নূরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
তাবলীগ জামায়াতের এই সংঘর্ষের ঘটনা মূলত সংঘটিত হয়েছে দুটি পক্ষের মধ্যে ক্ষমতার লড়াইয়ের কারণে। তাবলীগ জামায়াতের বিশ্ব ইজতেমা, যা প্রতি বছর ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের একত্রিত করার এক বিশাল অনুষ্ঠান, সে কারণে মাঠের নিয়ন্ত্রণ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। পুলিশ এবং স্থানীয় নেতারা এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।