Sunday, November 9, 2025
হোমফিচারবিদেশে উচ্চশিক্ষা: কীভাবে বেছে নেবেন বিশ্ববিদ্যালয়!

বিদেশে উচ্চশিক্ষা: কীভাবে বেছে নেবেন বিশ্ববিদ্যালয়!

আপনি যে দেশে উচ্চশিক্ষার কথা ভাবছেন, সে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে কোনগুলো র‍্যাংকিং-এ এগিয়ে আছে, তা যাচাই করে নিন। ইন্টারনেটে আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংকিং দেখার জন্য বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট আছে। (যেমন চীনের সাংহাই জিয়াওটং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত একাডেমিক র‍্যাঙ্কিং অব ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিস, যুক্তরাজ্যের প্রতিষ্ঠান টাইমস হায়ার এডুকেশন বা টিএইচইর ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং এবং কিউ-এস নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠানের র‍্যাংকিং । এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন উপস্থিতি বা ওয়েবসাইট কতটা ভালো, তার ওপর নির্ভর করে করা হয় ওয়েবোমেট্রিক্স র‍্যাংকিং এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস নিউজ অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড রিপোর্টের র‍্যাঙ্কিংও আছে।) শিক্ষার মান, শিক্ষার্থীর সংখ্যা, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যাসহ বিভিন্ন মানের ওপর নির্ভর করে র‍্যাঙ্কিং করা হয়। আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে যে বিষয়ে ডিগ্রি অর্জনের জন্য যেতে চান, তার র‍্যাঙ্কিংয়ের দিকে খেয়াল রাখুন। অনেক সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিং হয়তো সামনের দিকে থাকে, কিন্তু আপনি যে বিষয়ে পড়বেন, তার অবস্থান পেছনে থাকতে পারে।

আবেদনের যোগ্যতা প্রক্রিয়াও গুরুত্বপূর্ণঃ

সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য অনলাইনের মাধ্যমে এখন আবেদনপত্র গ্রহণ করা হয়। আবেদনপত্রের সঙ্গে মোটিভেশন লেটার, রেকমেন্ডেশন লেটারসহ (সুপারিশপত্র) ভাষা দক্ষতার সনদ জমা দিতে হয়। দ্রুত ও সহজেই আবেদন করা যায়, ভর্তিপ্রক্রিয়ায় সময় কম লাগে, এমন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এগিয়ে রাখতে পারেন।

বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই, র‍্যাংকিং, বৃত্তি, আবহাওয়া, ভাষা ও ক্যাম্পাসসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত পরামর্শ।

বৃত্তির যত সুযোগঃ

বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য টিউশন ফি সাধারণত একটু বেশি হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে পছন্দসই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কেমন বৃত্তির সুযোগ আছে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। মেধাভিত্তিক বৃত্তির পাশাপাশি অন্যসব বৃত্তির খোঁজ নিন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওয়েবসাইট ও ভর্তি কার্যালয়ে ই–মেইল বা চিঠি লেখার মাধ্যমে বৃত্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়।

কেমন ক্যাম্পাসঃ

আমেরিকা, যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরবর্তী ক্যাম্পাস থাকে। আপনার বিশ্ববিদ্যালয়টি কোন শহরে অবস্থিত, তার দূরবর্তী ক্যাম্পাস কোথায়, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আপনার আবাসন কত দূরে, এসব বিষয় বিশ্ববিদ্যালয় বাছাইয়ের ক্ষেত্রে মাথায় রাখা জরুরি। শহরকেন্দ্রিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে ব্যস্ততা যেমন বেশি থাকে, তেমনি কাজের চাপও অনেক। আবার এসব ক্যাম্পাসে পড়ার মাধ্যমে সেই দেশ ও শহরের সংস্কৃতিকে ভালো করে জানার সুযোগ পাওয়া যায়। তবে জীবনযাপনের খরচের দিকে খেয়াল রেখে বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারণ করতে হবে।

অন্যান্য তহবিল বা আয়ের সুযোগঃ

আপনি বৃত্তির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেলেও খেয়াল রাখুন, অন্য কোনো উপায়ে তহবিল লাভের সুযোগ আছে কি না। বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিযোগিতা, সম্মেলন কিংবা এক্সচেঞ্জ কর্মসূচির মাধ্যমেও তহবিল প্রাপ্তির সুযোগ থাকতে পারে। গবেষণার পাশাপাশি ক্যাম্পাসভিত্তিক কাজের কেমন সুযোগ আছে, সেদিকেও খেয়াল রাখুন। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ থাকে। শিক্ষকের সহকারী বা গবেষণা সহযোগী হিসেবে কাজ করেও আয় করা যায়, যা আপনার জীবনযাত্রাকে সহজ করবে।

আবহাওয়ার দিকে খেয়াল রাখুনঃ

যে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করবেন, সেটি কোন এলাকাতে অবস্থিত? সেখানকার আবহাওয়া কেমন? বাংলাদেশ থেকে গিয়ে আপনি সেখানে মানিয়ে নিতে পারবেন তো? অতিরিক্ত শীত বা অতিরিক্ত গরমে আপনার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে পারে কি না, তা আগেই বিবেচনা করুন।

পাঠ্যক্রমের ভাষা কীঃ

কোন ভাষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম পরিচালিত হয়, সে ভাষায় আপনার ভালো দখল আছে কি না, তা আগেই খেয়াল করুন। ইংরেজি ছাড়া অন্য কোনো ভাষা জানা থাকলে আপনি অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রাধান্য পাবেন। আবার ভাষা না জানা থাকলে সমস্যায় পড়তে হতে পারে।

কীভাবে জানবঃ

সব তথ্যই পাবেন ইন্টারনেটে। ইন্টারনেট ঘেঁটে আপনি প্রয়োজনীয় তথ্যটা বের করতে জানেন কি না, সেটাও কিন্তু একটা যোগ্যতা বা দক্ষতা। সেই দক্ষতা গড়ে তুলতে হবে এখনই। এ ছাড়া আপনার কোনো শিক্ষক, কিংবা ভিনদেশে পড়ছেন, এমন পরিচিত কারও পরামর্শ নিতে পারেন। ঢাকার আমেরিকান সেন্টার, ব্রিটিশ কাউন্সিল, আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ, গ্যেটে ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র থেকে উচ্চশিক্ষাবিষয়ক তথ্য ও পরামর্শ পেতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং রূপকথা

লেখক : ওয়ালিদ

ছাত্র , IUBAT

ঘরে বসে লক্ষ টাকা আয় করুন | বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটের সুবাদে এইরকম কথার সাথে আমরা সকলেই কম বেশি পরিচিত | কিন্তু সত্যিই কি ঘরে বসে লাখ টাকা আয় করা যায়? আর যদি যায় তাহলে সেটা কিভাবে করতে হয়? এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকের মাঝে অনেক ধরনের কনফিউশন থাকে | ইনশাআল্লাহ আজকে আমি আপনাদের সকল ধরনের কনফিউশন দূর করার চেষ্টা করবো | তার আগে আমি আমার স্পিসিফিক একটি পরিচয় দিতে চাই। কারণ ফ্রিল্যান্সিং কথাটার সাথে অনেক বড় স্ক্যাম জড়িত | আমার নাম ওয়ালিদ , আমি গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ফাইবার মার্কেটপ্লেস ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করছি | বর্তমানে আমি ফাইবার মার্কেটপ্লেস এ লেভেল টু সেলার |

প্রথমেই বলে রাখি যে ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং সম্পূর্ণ আলাদা বিষয় | অনেকেই এই দুটো জিনিস কে একই ভেবে গুলিয়ে ফেলে | খুবই সহজ ভাষায় বলতে গেলে যারা সার্ভিস দেয় তারা ফ্রিল্যান্সার , আর যারা সার্ভিস ক্রয় করে তারা আউটসোর্সার | ধরুন আপনি খুবই ভালো ওয়েবসাইট বানাতে পারেন | আমি আপনার কাছে গিয়ে বললাম ভাই আমার একটি ওয়েবসাইট লাগবে আমাকে একটি সাইট তৈরী করে দিন |আপনি আমাকে সুন্দর একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে দিলেন এবং তার বিনিময় আমার কাছ থেকে  টাকা নিলেন | এখানে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করলেন এবং আমি আউটসোর্সিং করলাম |

এবার চলুন একটু টাকা-পয়সা নিয়ে কথা বলি | ফ্রিল্যান্সিং করে অবশ্যই লক্ষ টাকা আয় করা যায় তবে এই কথাটা আংশিক সত্য | কারণ এক লক্ষ টাকার কথা বলে আপনাকে লোভ দেখানো হচ্ছে কিন্তু এক লক্ষ টাকা আয় করতে গেলে কি পরিমাণ পরিশ্রম আপনাকে করতে হবে সেই বিষয়ে ক্লিয়ার করে বলা হচ্ছে না | আমার ইউনিভার্সিটির সিনিয়র ভাই আমাকে একবার বলেছিল , ” পৃথিবীতে সবচেয়ে কঠিন কাজ হলো অন্যের পকেট থেকে টাকা বের করা ” |  আর ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে আপনাকে অনেক স্মার্ট ভাবে  এই কাজটি করতে হবে | 

যেহেতু বর্তমান সময়ে অনেক কম্পিটিশন তাই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে আসার আগে আপনাকে প্রচুর দক্ষতা অর্জন করতে হবে | তা না হলে হাজারো কম্পিটিশনের মাঝে আপনি হোঁচট খেয়ে পড়ে যাবেন এবং তখন আপনার মনে হবে আসলেই এই কথাগুলো মনে হয় মিথ্যা কথা যে “ফ্রিল্যান্সিং করে লক্ষ টাকা আয় করা যায়”

আমাদের দেশে ফ্রিল্যান্সিংয়ের জনপ্রিয় সবচেয়ে তিনটি ক্যাটাগরি হলো :

1.Web Development 

2.Digital Marketing

3.Graphic Design

এছাড়া আরো অনেক ক্যাটাগরি আছে যেখানে আপনি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে পারবেন | ফ্রিল্যান্সিং মূলত একটি মুক্ত পেশা এখানে আপনি আপনার দক্ষতা বিক্রি করতে এসেছেন |

তাই ,এখানে আপনি চাইলে আপনার যেকোন দক্ষতাকে মার্কেট উপযোগী করে  বিক্রি করতে পারবেন | 

আর হ্যাঁ অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে লক্ষ টাকা আয় করা যায় কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন প্রকারের ডেডিকেশন এবং প্রয়োজনীয় দক্ষতা |

আউটরিচ কো-অর্ডিনেটর,

এডুকেশন ইউএসএ, মার্কিন দূতাবাস, ঢাকা।

এই সম্পর্কিত আরও আর্টিকেল দেখুন

একটি উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সর্বাধিক পঠিত