প্রিয় পাঠকবৃন্দ, নতুন বছরের প্রথম প্রহরে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি সংখ্যাটি আমাদের সামনে নিয়ে এসেছে একটি অসামান্য সুযোগ—বিশ্বের পরিবর্তনশীল প্রেক্ষাপট এবং আমাদের নিজস্ব ঐতিহাসিক অর্জনকে পুনর্বিবেচনা করার। বিগত বছরটি যেমন চ্যালেঞ্জে পূর্ণ ছিল, তেমনি ছিল আশা ও পুনর্গঠনের জন্য অনুপ্রেরণামূলক। এই সংখ্যায় আমরা আলোকপাত করেছি এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমাদের জন্য বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ আমাদের জাতীয় জীবনের জন্য একটি আলোড়ন জন্ম দিয়েছে। জুলাই বিপ্লব শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক পরিবর্তন নয়, এটি ছিল জনগণের চেতনার পুনর্জাগরণ এবং আত্মনির্ভরশীলতার একটি নতুন অধ্যায়। ঘোষণাপত্রটি জানুয়ারীর ১৫ তারিখ প্রকাশ হবে বলে আমরা আশা করি। এই সংখ্যায় যেসব লেখা প্রকাশিত হয়েছে, তা আমাদের সবার জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।
আমাদের সংবিধান সংস্কারের প্রসঙ্গেও আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি। প্রতিটি জাতির অগ্রগতির মূলে থাকে একটি শক্তিশালী ও যুগোপযোগী সংবিধান। বর্তমান পরিবর্তনগুলি কীভাবে আমাদের জাতীয় কাঠামোকে নতুন শক্তি ও স্থায়িত্ব প্রদান করবে, তা বিশ্লেষণ করা হয়েছে এই সংখ্যায়।
বিশ্বের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য দেশের সংবাদও আমরা অন্তর্ভুক্ত করেছি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চলমান উত্তেজনা এবং পরিবর্তনশীল গতি আমাদের ভবিষ্যতের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে। আন্তর্জাতিক ডামাডোলের আলোচনায় উঠে এসেছে বৈশ্বিক কূটনীতির নতুন ধারাসমূহ এবং আমাদের করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা।
ক্যাম্পাস নিউজ এই সংখ্যায় একটি বিশেষ স্থান পেয়েছে। আমাদের তরুণ প্রজন্মই ভবিষ্যতের পথপ্রদর্শক, এবং তাদের সৃষ্টিশীলতা, সংগ্রাম ও সাফল্যের কাহিনিগুলি আমাদের সবাইকে উজ্জীবিত করে। ছাত্রসংসদ নির্বাচনের দাবী সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক ঘটনাগুলিকে আমরা তুলে ধরেছি, যা আমাদের শিক্ষাঙ্গনের চিত্র ফুটিয়ে তোলে।
আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের পথে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে চলা। এই লক্ষ্যেই আমরা ২০২৫ সালকে আরও সমৃদ্ধ ও সম্ভাবনাময় করতে চাই। আসুন, ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে নতুন দিনের সূচনা করি। স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে যেন বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে, সেই শুভকামনা রইলো।