প্রিয় পাঠক,
ক্যাম্পাস মিরর-এর আরও একটি চমৎকার পর্বে স্বাগতম। যেখানে আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের ভেতর বাইরের; নাগরিক জীবনের প্রাণবন্ত অস্তিত্বের সাথে সাথে চাপ ও উদ্ভূত সমস্যাগুলি বলিষ্ঠভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি।
প্রিয় পাঠক, চলতি বর্ষা মৌসুমের মধ্য দিয়ে চলার সাথে সাথে আমরা দেখতে পাচ্ছি তিলোত্তমা নগরের জলাবদ্ধতার বারবার সমস্যাটি আবার মাথা তুলেছে। খাল এবং জলাশয় বেদখল হয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা। নাগরিক জীবনকে স্বস্তি দিতে আমাদের নগর পরিকল্পনাবিদ এবং নগর কর্তৃপক্ষের অবশ্যই একটি টেকসই নিষ্কাশন ব্যবস্থা স্থাপন করতে হবে যাতে এই ধরনের বারবার চ্যালেঞ্জ প্রতিরোধ করা যায় এবং দখলকৃত খাল এবং ড্রেনেজ সিস্টেমকে পুনরুদ্ধার করা যায়।
অতি সম্প্রতি জাতীয় অর্থবছর ২০২৪-২৫ এর পাশ হওয়া বাজেট উল্লেখযোগ্যভাবে চারিদিকে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ছাত্র এবং ভবিষ্যত নেতা হিসেবে, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মূল ক্ষেত্রগুলিকে কার্যকরভাবে পরিচালনা করার জন্য আমাদের অবশ্যই বরাদ্দ এবং নীতিগুলি বিশ্লেষণ করতে হবে। ঋণ ব্যবস্থাপনা এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উপর বাজেটের ফোকাসকে আরও সুনির্দিষ্ট হতে হবে।
প্রিয় পাঠক, দেশজুরে আরো একটি ছাত্র আন্দোলন ডানা মেলেছে- কোটা সংস্কার আন্দোলন। ২০১৮ সালে মুক্তিযোদ্ধার নাতি নাতনিদেরকে দেয়া কোটা বাতিলের নির্বাহী সিদ্ধান্ত হাইকোর্ট বাতিল করে দেয় এবং আপিল বিভাগও সেটায় বহাল রাখে, ফলে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সারা দেশের সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়, অচল হয়ে যায় সারা দেশের প্রায় সকল গুরুত্বপূর্ণ জায়গা-সড়ক ও রেল পথ। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলি মূল সামাজিক আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল। সাম্প্রতিক প্রায় সব যৌক্তিক ছাত্র আন্দোলন; কোটা সংস্কার আন্দোলন নিরাপদ সড়ক আন্দোলন থেকে নিয়ে প্রায় সকল ন্যায্য এবং ন্যায়সঙ্গত সুযোগের প্রয়োজনে উদ্দীপিত হয়েছে বারবার। আমাদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থান ব্যবস্থায় সংস্কারের বাধ্যতামূলক প্রয়োজনীয়তার উপর এই আন্দোলন জোর দেয়। এই প্রতিবাদগুলি আমাদের সম্মিলিত পদক্ষেপের শক্তি এবং ছাত্র, পলিসি মেকার এবং আইন আদালতের মধ্যে একটি খোলা আলোচনা বজায় রাখার গুরুত্ব স্মরণ করিয়ে দেয়।
পাঠক, সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে, আমরা বিখ্যাত কবি আল মাহমুদকে তাঁর জন্মবার্ষিকীতে স্মরণ করছি, যার বাংলা সাহিত্যে অবদান প্রজন্ম থেকে প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে ঢলেছে। তিনি শেষ বাংলা মহাকাব্যের মহাকবি। একইসাথে আমরা আমাদের সাহিত্য সমাজের গভীর কন্ঠ কবি আসাদ বিন হাফিজের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করছি। তাঁর লেখা আমাদের জাতীয় বোধ ও বিবেকের পারদকে আরও উঁচু স্থানে নিয়ে যাবে বলেই আমাদের প্রত্যাশা।
ক্যাম্পাস মিররের এই সংস্করণটি অর্থনিতি, রাজনীতি, সাহিত্য, স্বাস্থ্যসহ ছাত্রজীবন ঘনিষ্ঠ অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিকে এক কাতারে এনে দাঁড় করিয়েছে: পাঠকদের আরও গভীরভাবে চিন্তা ও গবেষণা করার জন্য, আমাদের লেখক এবং কন্ট্রিবিউটরদের মতামত ও মন্তব্য উপস্থাপন করার জন্য সংখ্যাটি নিবেদিত। যথারীতি, আমরা আপনাকে আমাদের ম্যাগাজিনের বিষয়বস্তুতে অংশগ্রহণ করতে, আপনার চিন্তাভাবনাগুলি তুলে করতে এবং পরিবর্তন ও উন্নয়নের জোরালো কণ্ঠস্বর হতে আমন্ত্রণ জানাই।