জাহিদুল ইসলাম
নির্বাহী সম্পাদক, দ্যা ক্যাম্পাস মিরর।
মে দিবস, শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের ঐক্য, সংগ্রাম ও বিজয়ের প্রতীক। সারা বিশ্বের শ্রমিকরা যেভাবে মুনাফালোভী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অমানবিক শোষণ, বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে এসেছে, তা ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। মে দিবস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় শ্রমিকদের ঐতিহাসিক বিজয়ের কথা, যা প্রতিনিয়ত সারা বিশ্বের শ্রমজীবী জনগণকে আন্দোলনে অনুপ্রাণিত করে।
বর্তমানে বাংলাদেশে শহর ও গ্রামের শ্রমজীবী মানুষের সংখ্যা বিপুল। এই জনগণ ক্রমাগত শোষণ ও বঞ্চনার শিকার হচ্ছে। সমাজে ধনী-গরীবের বৈষম্য বাড়ছে, দারিদ্র্য ও বেকারত্ব বেড়ে চলেছে। অথচ শ্রমিকদের সাংবিধানিক অধিকার ও শ্রম আইন অনেক ক্ষেত্রে কেবল কাগজে সীমাবদ্ধ রয়েছে। যদিও বাংলাদেশ আইএলও সনদে স্বাক্ষরকারী দেশ, বাস্তবে তা অনেক সময়ই কার্যকর করা হয় না। শোষণ, লোভ ও ক্ষমতার দাপটে সমাজে হিংসা ও বৈষম্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং শ্রমিকদের উপর চাপ ও নিপীড়নও বেড়ে যাচ্ছে।
এ বছর রানা প্লাজা ট্রাজেডির এক যুগ পূর্তি হয়েছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ শ্রমিক বিপর্যয়। এই দুর্ঘটনা এক হাজার একশ ত্রিশ শ্রমিকের প্রাণ কেড়ে নেয়, এবং প্রায় দুই হাজার শ্রমিক গুরুতর আহত হয়।
যদিও এই দুর্ঘটনার পর অনেক ক্ষেত্রেই পরিবর্তন এসেছে, তবুও এখনও শ্রমিকদের নিরাপত্তা, জীবনমান, দুর্ঘটনা প্রতিরোধ এবং ক্ষতিপূরণের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের উপর চাপের পাশাপাশি মালিকপক্ষের উদাসীনতা, বিচারব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের অবস্থা অপরিবর্তিত রয়ে গেছে।
মে দিবসের ইতিহাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো কর্মঘণ্টা কমানোর আন্দোলন, যা মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকেই শুরু হয়েছিল। প্রথমদিকে, শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন শুরু হলেও পরে এটি কর্মঘণ্টা কমানোর দিকে মোড় নেয়। ১৮০৬ সালে ফিলাডেলফিয়ায় জুতা শ্রমিকরা যখন ধর্মঘট করেন, তখন তাদের দৈনিক কাজের সময় ছিল প্রায় ২০ ঘণ্টা। ১৮২০ থেকে ১৮৪০ সাল পর্যন্ত কর্মঘণ্টা কমানোর জন্য বেশ কয়েকটি ধর্মঘট হয়। ১৮২৭ সালে ফিলাডেলফিয়ায় মেকানিকদের উদ্যোগে গঠিত হয় প্রথম ট্রেড ইউনিয়ন, যেখানে দৈনিক দশ ঘণ্টা কাজের নিয়ম চালু করার দাবী উঠেছিল।
১৯৫০ সালের পর শ্রমিক ইউনিয়ন গঠন ও আন্দোলনের জোয়ার বাড়তে থাকে। ১৮৬৬ সালে বাল্টিমোরে ষাটটি ট্রেড ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা মিলিত হয়ে ‘ন্যাশনাল লেবার ইউনিয়ন’ প্রতিষ্ঠা করেন, যা সে বছরেই দৈনিক আট ঘণ্টা কাজের প্রস্তাবটি গ্রহণ করে। একই প্রস্তাবটি ১ ফার্স্ট ইন্টারন্যাশনাল এর জেনেভা কংগ্রেসেও গৃহীত হয়।
১৮৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আট ঘণ্টা কাজের দাবীতে আন্দোলন শুরু হয়, যা মে দিবসের জন্মের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। ১৮৮৬ সালে ‘আমেরিকান ফেডারেশন অব লেবার’ ১ মে তারিখে দৈনিক আট ঘণ্টা কাজের প্রস্তাবটি গ্রহণ করে এবং শ্রমিকদের মধ্যে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। সেই বছর, শ্রমিকরা একযোগে ধর্মঘটের ডাক দেন এবং শিকাগো ছিল আন্দোলনের কেন্দ্র।
১৮৮৬ সালের ১ মে শিকাগোতে শ্রমিকদের এক বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে শ্রমিকরা একত্রিত হয়ে তাদের দাবির পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন। এই সমাবেশ শ্রমিক আন্দোলনের ইতিহাসে শ্রেণী সংহতির এক অনন্য উদাহরণ হয়ে ওঠে। ৩ মে, শিকাগোর ম্যাককর্মিক ফসল কাটার কারখানায় ধর্মঘটী শ্রমিকদের সমাবেশে পুলিশ আক্রমণ করলে চার শ্রমিক নিহত হন। পরদিন হে মার্কেটে সংঘটিত এক বিস্ফোরণের পর, পুলিশ বাহিনীর উপর আক্রমণের জেরে এক পুলিশ সার্জেন্ট মারা যান এবং এ ঘটনায় আরও চার শ্রমিক ও সাত পুলিশ সদস্য নিহত হন। এই ঘটনার পর শ্রমিক আন্দোলন আরও তীব্র হয়ে ওঠে। হে মার্কেট চত্ত্বর রক্তে রঞ্জিত করে। এরপর প্রহসনের বিচারে ফাঁসির মঞ্চে নির্বিচারে প্রাণ দেন সংগ্রামী শ্রমিক নেতারা। জন্ম হয় এক মহান বিপ্লবের।
মে দিবসকে আন্তর্জাতিক শ্রমিক শ্রেণীর সংহতি দিবস হিসেবে উন্নীত করার পেছনে ২ সেকেন্ড ইন্টারন্যাশনাল এর রয়েছে অনন্য অবদান। ১৮৮৯ সালে সংগঠনটির প্রথম কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয় প্যারিসে। ঐ কংগ্রেসেই ১ মে তারিখটিকে বিশেষ দিবস হিসেবে উদ্যাপনের জন্য চিহ্নিত করা হয়, যা প্রতি বছরই শ্রমজীবী মানুষের একটি মহান দিবস হিসেবে সারা বিশ্বে পালিত হয়ে আসছে।
আমেরিকার শিকাগো শহরের শহীদ শ্রমিকদের অনুপ্রেরণায় ভারতবর্ষেও শ্রমিকদের দাবি আদায়ে ধর্মঘট আন্দোলন গড়ে তোলা হয়। ১৯২০ সালের দিকে রেল, চা বাগান এবং স্টিমার শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ব্রিটিশ শাসকদের কাঁপিয়ে তোলে। পরবর্তীতে, সুতাকলসহ বিভিন্ন কলকারখানায় শ্রমিকরা তাদের দাবি আদায়ের জন্য সংগঠিত হতে থাকে। সেই সময় গড়ে ওঠা ট্রেড ইউনিয়নগুলো শ্রমিকদের অধিকারের জন্য চেষ্টা চালায়, কিন্তু বেশিরভাগ জায়গায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ থাকার কারণে মে দিবস গোপনে পালন করা হতো।
এ উপমহাদেশে প্রথম মে দিবসের অনুষ্ঠান ১৯২৩ সালে মাদ্রাজে পালিত হয়, যেখানে সভাপতিত্ব করেন প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা সিঙ্গারাভেলু চেট্টিয়া। তৎকালীন বাংলার শিল্পকেন্দ্র কলকাতায় ১৯২৭ সালে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে মহান মে দিবস পালিত হয়। একই সময়ে তৎকালীন পূর্ব বাংলা অর্থাৎ বর্তমান বাংলাদেশে মে দিবস পালন শুরু হয়।
১৯৩৮ সালে নারায়ণগঞ্জে মে দিবস পালনের খবর পাওয়া যায়। সেই সময় থেকেই শ্রমিকরা বিভিন্নভাবে তাদের দাবি আদায়ের জন্য মে দিবসে ধর্মঘট পালন করতে থাকে। মে দিবসে ছুটি দেওয়ার দাবি একসময় সর্বত্র উত্থাপিত হয়। পাকিস্তান আমলেও মে দিবস পালনের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে এবং পৃথক পৃথকভাবে শ্রমিকরা উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে মে দিবস উদযাপন করতে থাকে। আমাদের দেশের শ্রমিকরা প্রমাণ করেছেন যে ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন থেকে তারা বিছিন্ন থাকতে পারে না। আইন বা কূটকৌশলের মাধ্যমে আন্দোলন স্তব্ধ করা যায় না। ১৯৭০, ১৯৮০, ১৯৮৬, ১৯৯১ সালসহ নানা সময় উল্লেখযোগ্য আন্দোলন হয়েছে। ১৯৮২ সালে এরশাদ সরকার ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার হরণ করে মিটিং নিষিদ্ধ করলেও, সামরিক শাসন উপেক্ষা করে চট্টগ্রাম পহাড়তলী ওয়ার্কশপে নৌবাহিনীর হামলায় কুনু মিয়া হত্যাকাণ্ডের পর আন্দোলন গড়ে ওঠে।
১৮৮৬ সালকে ভিত্তি ধরলে, ১ মে ২০২৫ ছিল আন্তর্জাতিক শ্রম দিবসের ১৩৯ বছর। এ সময়ে অনেক পরিবর্তন হয়েছে এবং শ্রমজীবী মানুষের অধিকার মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে। ১৮৮৬ সালে শিকাগো শহরে শ্রমিকেরা দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিতে আন্দোলন করেন, যা সহিংসতা ও পুলিশের হাতে হত্যাকাণ্ডের ফলে রক্তাক্ত হয়ে ওঠে। পরবর্তী সময়ে, ১৮৮৯ সালে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ১ মে দিনটি আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে ৮০টিরও বেশি দেশে মে দিবস জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয় এবং শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি, নিরাপদ কর্মপরিবেশ, এবং তাদের অধিকার সুরক্ষা নিয়ে সচেতনতা তৈরি হয়।
work…
বাংলাদেশে ১৯৭২ সাল থেকে মে দিবস সরকারিভাবে পালিত হচ্ছে, যেখানে শ্রমিক সংগঠন ও ট্রেড ইউনিয়নগুলো নানা কর্মসূচির মাধ্যমে শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে। শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ে তোলার পাশাপাশি সরকার শ্রম আইন ২০০৬, ন্যূনতম মজুরি বোর্ড, এবং অন্যান্য কল্যাণ তহবিল চালু করেছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কনভেনশনে স্বাক্ষরিত হওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষায় অগ্রগতি সাধন করেছে, তবে এখনও শ্রমিকদের অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করার জন্য আরও প্রচেষ্টা প্রয়োজন।শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের শ্রম শাখার এক স্মারকে শ্রমিককে চাকরিচ্যুতি, ছাঁটাই এবং মহান মে দিবসে কারখানা বন্ধ রাখার প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘যৌক্তিক কারণ এবং শ্রম আইনের প্রতিপালন ব্যতীত শ্রমিক চাকরিচ্যুত বা ছাঁটাই করা যাবে না। গত ৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত আরএমজি বিষয়ক ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ (আরএমজি বিষয়ক টিসিসি)-এর ২০তম সভার এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২০২৪ সালের ১৮ নভেম্বর গঠিত শ্রম সংস্কার কমিশন সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ৪৫০ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এতে ২৫টি বিষয়ে সুপারিশ রয়েছে, যা দেশের শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো:
- প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক সব শ্রমিকের জন্য শ্রম আইনের সুরক্ষা নিশ্চিত করা
- সব শ্রমিকের জন্য একটি সর্বজনীন জাতীয় ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ এবং প্রতি তিন বছর পরপর পুনর্নির্ধারণ
- জীবনধারণযোগ্য মজুরি (Living Wage) ভিত্তিতে মজুরি নির্ধারণ, যাতে খাদ্য, বাসস্থান, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সঞ্চয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে
- মূল্যস্ফীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে বার্ষিক মজুরি বৃদ্ধি
- মজুরি দেরি হলে ক্ষতিপূরণ প্রদান ও আপৎকালীন তহবিল গঠন (দুই মাসের মজুরি সংরক্ষিত থাকবে)
- শ্রমিকদের নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক
- ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের শর্ত শিথিল করা এবং আউটসোর্সিং বন্ধে সুপারিশ
- নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস
- স্থায়ী জাতীয় ন্যূনতম মজুরি কমিশন গঠন, যার অধীনে পেশাভিত্তিক উপ-কমিটি থাকবে
- মজুরি নির্ধারণের সময় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের সুপারিশ
এই সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন হলে দেশের সাত কোটির বেশি শ্রমিক বিশেষ করে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকরা উল্লেখযোগ্যভাবে উপকৃত হবেন।
বাংলাদেশে মে দিবস কেবল একটি আনুষ্ঠানিক দিন নয়, এটি শ্রমজীবী মানুষের সংগ্রাম, আত্মত্যাগ এবং তাদের অধিকার অর্জনের প্রতীক। প্রতি বছর ১ মে শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তাদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য নানা কর্মসূচি, মিছিল, শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়। তবে, এদিনের প্রকৃত গুরুত্ব শুধু সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উদযাপনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। মে দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে প্রকৃত উন্নয়ন কখনোই শুধু সড়ক, ভবন বা অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না; উন্নয়নের প্রকৃত অর্থ হলো মানুষের জীবনমানের উন্নতি, বিশেষত শ্রমজীবী মানুষের। যখন শ্রমিকদের অধিকার, সম্মান এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে, তখনই সমাজে প্রকৃত উন্নয়ন আসবে।
এদিনের প্রকৃত লক্ষ্য হলো একটি ন্যায়সঙ্গত এবং সমৃদ্ধ সমাজ গঠন, যেখানে প্রতিটি শ্রমিক তার শ্রমের মর্যাদা, নিরাপত্তা এবং সঠিক পুরস্কার পাবে। আমাদের দায়িত্ব হলো শ্রমিকদের জন্য একটি উন্নত কর্মপরিবেশ তৈরি করা, যেখানে তাঁরা শুধু উৎপাদনশীল কাজের অংশ নয়, বরং একটি উন্নত এবং মানবিক সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে স্বীকৃত হবে। শ্রমিকদের প্রতি সম্মান, সুরক্ষা এবং ন্যায্যতা প্রদর্শন করেই আমরা একটি আরও শক্তিশালী, টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ে তুলতে পারি। মে দিবসের এই মহান বার্তা আমাদের সকলকে উদ্বুদ্ধ করবে, যাতে আমরা একটি মানবিক, ন্যায়সঙ্গত এবং সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে পারি।
