ক্যাম্পাস প্রতিবেদক
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (UIU) শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) ডঃ আবুল কাশেম মিয়া পদত্যাগ করেছেন। এরপরই একযোগে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন ডিন, প্রো-ভিসি ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের ‘অযৌক্তিক দাবি’র প্রতিবাদেই এই সিদ্ধান্ত। তবে শিক্ষার্থীদের ভাষ্যে, তাদের দাবিগুলো ছিল সম্পূর্ণ ন্যায্য ও যুক্তিসঙ্গত।

শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা ব্যবস্থার মানোন্নয়ন, টিউশন ফি নিয়ন্ত্রণ, একাডেমিক কার্যক্রমের স্বচ্ছতা এবং দায়িত্বশীল প্রশাসনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তাদের মতে, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়েও তারা বারবার অবহেলিত হন। ফলে শেষ পর্যন্ত কঠোর অবস্থানে যেতে বাধ্য হন তারা।

আন্দোলনকারীরা জানান, তাঁরা চাইছিলেন একটি পরিবেশ যেখানে প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সম্মানের সঙ্গে দেখবে এবং তাঁদের সমস্যা শুনে সমাধান করবে। তার বদলে তাঁদের দাবিকে ‘অযৌক্তিক’ বলে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের এই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন প্রমাণ করেছে, বর্তমান প্রজন্ম নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন। শিক্ষার পরিবেশে স্বচ্ছতা ও মানবিকতা প্রতিষ্ঠার জন্য এ ধরনের প্রতিবাদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

একজন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা সম্মান চাই, অবহেলা নয়। শিক্ষা ব্যবস্থার ভেতরে যে অন্যায় চলছিল, আমরা তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছি।” কিন্তু সকল উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পদত্যাগের বিষয়ে শিক্ষার্থীরা বলছেন , এটা নজিরবিহীন সিন্ডিকেটের একটি চাক্ষুস প্রমাণ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘটনাকে অনেকে দেখছেন দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থার সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার একটি বড় ইঙ্গিত হিসেবে। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে একটি টেকসই, দায়িত্বশীল প্রশাসন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন আন্দোলনের সংশ্লিষ্টরা।
